“লোভে পাপ পাপে মৃত্যু, আর পাপ তার বাপকেও ছাড়ে না।”
এই প্রবাদ বাক্যটি দুটি হিন্দুদের কাছে সত্যি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঘটনাস্থল:- দক্ষিণ ২৪পরগনা জেলার কুলপি থানার অন্তর্গত, রামকৃষ্ণপুর অঞ্চলের পশ্চিম যাদবনগর গ্রাম, পোস্ট – দক্ষিণ রাজারামপুর।
একদা এই গ্রামে ষোল আনা হিন্দুর বাস ছিল। ১৯৯৬ সাল নাগাদ এখানে মাত্র ১০-১২ ঘর মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষের বসতি গড়ে ওঠে,যা বর্তমানে প্রায় ৪০-৪৫ ঘর মুসলমান বসবাস করছে। এই হিন্দু গ্রামে প্রাচীনতম মন্দির “বাবা পঞ্চনন্দের থান” নামে খ্যাত। হিন্দুরা ওখানে নিয়মিত পূজা-আরতি করে থাকে। কোভিড মহামারীর সময় ওখানে একটা মসজিদও তৈরি করে ফেলেছে মুসলিমরা।
১৯৯৬ সাল থেকেই ওখানে পুজো-পার্বণ নিয়ে হিন্দুদের সাথে ছোটখাট ঝামেলার সূত্রপাত হয়। হিন্দুদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়াটাই ওদের আসল উদ্দেশ্য। প্রতিবারই মুসলমানেরা হুমকি দিত যে আমরা এই মাঠে তোমাদের গোমাতা কাটবো। নিছকই কথার কথা বলে হিন্দুরা এত বেশি গুরুত্ব দিত না, তাই হয়তো পুলিশ-প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করে নি।
কিন্তু গত ১৬/১০/২৪ যখন হিন্দুরা ওই মাঠে লক্ষ্মীপূজার আয়োজন করেছে ও পুজো মণ্ডপে মাইক বাজায়। তখন মুসলমানরা আপত্তি জানাতে থানায় খবর দেয়। কুলপি থানার পুলিশ অফিসার সিভিক ভলেন্টিয়ার এর মাধ্যমে খবর নিয়ে জানতে পারেন ছোটখাটো বক্স বাজছে তাই অভিযোগ নেয়নি। পুলিশের এই নিস্পৃহ ভূমিকা দেখে ওই মাঠে একটি গরুকে মুসলমানরা স্নান করিয়ে গলায় মালা দিয়ে কুরবানী দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেয়। হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার জন্যই যে এই উদ্যোগ তা সকলের অনুমেয়।
এই পরিস্থিতিতে হিন্দুরা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করাটাও স্বাভাবিক। প্রথমেই হিন্দুরা থানায় অভিযোগ জানায়। থানা(নাম) থেকে মহিলা পুলিশ সমেত পুলিশ বাহিনী এসে মুসলমানদের এই কর্ম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়। পুলিশ প্রশাসনের এই ভূমিকায় মুসলমানরা পুলিশের উপরেই আক্রমণ শুরু করলেন বালি-লঙ্কার গুঁড়ো-পাথর দিয়ে। একজন মহিলা পুলিশ সহ ৬ জন পুলিশ কর্মী আহত হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। পুলিশ-প্রশাসন দক্ষতার সহিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। এবং কয়েকজনকে গ্রেফতার করেন। পুলিশ প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা নেওয়ার জন্য “হিন্দু-মিলন-সংঘের” পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাই।
লোভে পাপ পাপে মৃত্যু :-
কারণ ওই গ্রামের সমস্ত জায়গা-জমিই তো হিন্দুদের ছিল। হিন্দুরাই মূল্য বেশী পাবে বলে মুসলমানদের কাছে একটার পর একটা করে বিক্রি করে মুসলমানদের বসতি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেছে। আজ তার পরিণাম দেখতে পাচ্ছে। এইরকম লোভের বশবর্তী হয়ে পশ্চিমবঙ্গের অনেক জায়গায় হিন্দুরা নিজেদের জমি মুসলমানদের কাছে বিক্রি করে হিন্দুদের বিপজ্জনক পরিস্থিতির সম্মুখীন করেছে।
ক্ষুদ্র স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বৃহত্তম স্বার্থ হানির মানসিকতা হিন্দুদের বর্জন করা উচিত।
