লেখক মাননীয় তপন ঘোষ

উদাহরণ স্বরুপ বলি মহাভারতের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে অর্জুন পুত্র অভিমন্যু বধ ও দ্রোণাচার্য পুত্র অশ্বত্থামা দ্বারা দ্রৌপদীর পঞ্চপুত্র হত্যা।

সত্যি, মূল্যতো দিতেই হবে। মূল্য দেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়? তাহলে তোমার আশাকরা সম্পূর্ণ অন্যায় হবে।

পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ২০১৯ সালে দিল্লী দখলের এসিড টেষ্ট মোদীজির কাছে। আর দিল্লী মোদীজির হাত ছাড়া হয়ে গেলে বাংলার রাজ্য সরকারের খুবই বিপদ। কারন রাহুল গান্ধী ক্ষমতায় আসা মানেই মমতা ব্যানার্জীর ঘাড় মুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে। মনে আছে মমতা ব্যানার্জীর ২৬ দিনের অনশন ? মনমোহন সিং চিঠি দেবেইনা মমতা ব্যানার্জীকে অনশন ভাঙার জন্য। শেষ পর্যন্ত সংসদে লালকৃষ্ণ আদবানীর মধ্যস্থতায় চিঠি পাঠাতে বাধ্য হয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং । তারপর দিদি অনশন ভাঙেন। এইরকম আরো অনেক উদাহরণ আছে।

কিছুদিন আগেই রিপোর্ট বেরিয়েছে জন্মনিয়ন্ত্রনে পশ্চিমবঙ্গ প্রথম। হয়তো নিয়ন্ত্রণ শুধু হিন্দুরাই করছে। এর জন্য দায়ী কি আপনি শুধুই রাজ্য সরকারকে করতে চান?? হিন্দুরা সন্তান নেবেনা তার জন্য দায়ী পুরোপুরিভাবে সরকার হয় কি করে?? আমেরিকায় ওরার্ল্ড ট্রেড সেন্টার লাদেন ভেঙে দেওয়ার পরেও ভালো করে খোঁজ নিয়ে দেখুন অমুসলমানরা বাচ্চা নিচ্ছে ১-২ টো, আর মুসলমানরা ২-৩ টে। তাহলে সমস্যা কোথায়?? মানুষের মানসিকতায়।

এই মানসিকতা পরিবর্তন না করে যদি আপনি আন্দোলন করেন চরম অন্যায় হবে। জন্মনিয়নে বাংলা এতো এগিয়ে রয়েছে, অথচ আপনি আন্দোলন করবেন। সঙ্গে সঙ্গে হিন্দুরা নিজেদের বাচ্চা বাড়ানো বাদ দিয়ে সরকার পরিবির্তনের চেষ্টা করবে। তাতে হিন্দুর অলস, স্বার্থপর, অকৃতজ্ঞ মানসিকতার পরিবর্তন হলোনা। তাতে সরকার পরিবর্তন করে কিছুই করতে পারবেনা।

আর এক বিষয় যারা আন্দোলন করছে তাদের কয়টি করে বাচ্চা?? মনে আছে বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজের কথা – “৫ টি করে বাচ্চা নিতে হবে”। এই মন্তব্যের বিরোধীতা বেশি হিন্দুরাই করেছিলো। এখানেও সেই মানসিকতা।

যারা বেশি করে বাচ্চা নিচ্ছে হিন্দুরতো ক্ষমতা নেই ঠাঁঠিয়ে এক চড় মেরে বলা তোর এতো জায়গা কম, নিজের খাওয়ার কিছু নেই তুই এতো বাচ্চা নিচ্ছিস? ক্ষমতা আছে এই কথা জিজ্ঞাসা করার?!! কেন নেই?? কারন আমাদের মাশলপাওয়ার কম। এখানেও কি পুরোপুরিভাবে সরকারের দোষ হতে পারে???

ঘুরে ফিরে দেখুন হিন্দু সমাজের মূল সমস্যা মাশলপাওয়ারের অভাব। এই চিন্তা থেকে বেরিয়ে গিয়ে যখন কেউ জন্মনিয়ন্ত্রন নিয়ে বেশি ভাবছে ও ভাবানোর চেষ্টা করছে হয় শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছে, নয়তো নিজ রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করতে চাইছে।

আমাদের মানসিকতার ছেলেদের কাছে বিশেষভাবে আহ্বান – সস্তার কাজে না গিয়ে বিবেকানন্দের মানসিকতায় সমাজকে শক্তিশালী করার কাজে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

সংকলন:-শুভঙ্কর নাগ