বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম উঠে এসেছে—নিউটন দাস (Bangladeshi Newton Das Kakdwip)। বাংলাদেশের অগাস্ট আন্দোলনে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল অন্যতম। ওই আন্দোলনের সময় তার উপস্থিতি এবং ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। নিউটন দাসের এই ছবি এবং উপস্থিতি ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে কাকদ্বীপের সুভাষনগর এলাকায় তার পরিচয় নিয়ে।

নিউটন দাস বাংলাদেশি নাগরিক, এবং তার ভোটার তথ্যও উন্মোচিত হয়েছে। তার বড় ভাই তপন দাস জানিয়েছেন যে, নিউটন দাস বাংলাদেশে ভোটার। তিনি সুভাষনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে, যেটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। নিউটন দাসের বাংলাদেশি ভোটার হওয়া বিষয়টি তপন দাসের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নিশ্চিত হয়েছে, যা স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজনৈতিক মহলে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।

এছাড়া, কিছু দিন আগেও নিউটন দাস কাকদ্বীপের সুভাষনগর এলাকায় বসবাস করতেন, যা তার ভাই তপন দাস নিশ্চিত করেছেন। কাকদ্বীপে তার থাকার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে কারণ এই এলাকায় তার রাজনৈতিক পরিচিতি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। কাকদ্বীপের মহকুমা শাসকের কাছে ইতোমধ্যে এই বিষয় নিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হচ্ছে, নিউটন দাস কাকদ্বীপের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (TMCP)-এর সদস্য ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে।

Bangladeshi Newton Das Kakdwip
Bangladeshi Newton Das Kakdwip

বিরোধী দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে যে, নিউটন দাস (Bangladeshi Newton Das Kakdwip) একজন সক্রিয় TMCP কর্মী হিসেবে কাকদ্বীপে বিভিন্ন রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশ নিতেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় TMCP নেতা দেবাশিস দাসের সঙ্গে নিউটনের একাধিক ছবি পাওয়া গেছে। তবে, দেবাশিস দাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তিনি দাবি করেছেন যে, নিউটন দাস কখনোই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সক্রিয় সদস্য ছিলেন না।

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, গ্রেপ্তার মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসক সুলতান ফারুক মণ্ডল

এই বিষয়টি স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। একদিকে, বিরোধী পক্ষ দাবি করছে যে, নিউটন দাসের বাংলাদেশি ভোটার হওয়া এবং কাকদ্বীপে তার রাজনৈতিক কার্যক্রম শঙ্কার সৃষ্টি করেছে, অন্যদিকে, তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগগুলি অস্বীকার করছে। সুতরাং, পুরো বিষয়টি এখন রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক তদন্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এর ফলাফল কী হতে পারে তা সময়ই বলে দেবে। এনিয়ে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে।