আজ (১২ই জুলাই) সেই অভিশপ্ত দিন যেদিন আমার কর্ম-গুরু মাননীয় তপন ঘোষ আমাদের সকলকে বিদায় জানিয়ে অনন্ত যাত্রায় গমন করেছিলেন।

প্রাণশক্তিতে ভরপুর এমন একজন যুগাবতার সামান্য একটা অজুহাতেই যেন আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। দুই বছর আগে আজকের দিনে শোকে ভেঙে পড়তে দেখেছিলাম পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের, বিশেষ করে হিন্দু ধর্মযোদ্ধাদের।

কিন্তু আজ দাদার বাড়িতে যেতেই দেখলাম মুষ্টিমেয় দাদার খুব কাছের মানুষ ছাড়া আর কাউকেই দেখতে পেলাম না। হাহাকার করে উঠল মনটা। এমন একটা মানুষকে এত সহজেই ভুলে গেল সকলেই!

সোশ্যাল মিডিয়ায় গতকাল দাদার ছবি দিয়ে তিরোধান দিবসের শোকবার্তা দেখেই মনটা অস্থির হয়ে উঠেছিল, তাই সকালেই বেরিয়ে পড়লাম দাদার বাড়ির উদ্দেশ্যে।

শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে বিষন্ন মনে বাড়ি ফিরলাম।

দাদা যেভাবে ধর্ম রক্ষার শিক্ষা আমায় দিয়েছেন তা আজ আর কোথাও নজরে পড়ল না। শুধুই মিছেমিছি খেলা করছে যেন মনে হচ্ছে।

ক্ষুদ্র স্বার্থেই মগ্ন আজ সমগ্র হিন্দুসমাজ । ওরা যেন শুধুই নিতে চায় বিনিময়ে কিছুই দিতে চায় না।

কিন্তু দাদা বলেছিলেন বলিদান ছাড়া সমাজ রক্ষা হবে না।

রাজকুমার সরদার, সভাপতি, হিন্দু মিলন সংঘ