হাওড়ায় দেহব্যবসা এবং পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত একটি কাণ্ডে অভিযুক্ত মা শ্বেতা খান ও ছেলে আরিয়ান খান (Prostitution Racket Arian Khan) এখনও পলাতক রয়েছেন। হাওড়া সিটি পুলিশের একটি তদন্তকারী দল তাঁদের সন্ধানে বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালাচ্ছে। পাশাপাশি, অভিযুক্ত মা ও ছেলের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজও পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হাওড়ার বাঁকড়ায় যে বাড়িতে মা ও ছেলে বসবাস করতেন, সেই বাড়ির বাইরের একটি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। পুলিশের লক্ষ্য হল, ওই সিসি ক্যামেরার হার্ডড্রাইভটি উদ্ধার করা, যা থেকে জানা যাবে ওই বাড়িতে কাদের যাতায়াত ছিল। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রায় পাঁচ মাস ধরে এক তরুণীকে আটকে রেখে শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে বাঁকড়ার বাসিন্দা মা শ্বেতা খান এবং তাঁর ছেলে আরিয়ান খানের Prostitution Racket Arian Khan) বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর মা ও ছেলে গা ঢাকা দেন। পুলিশি তদন্তে জানা যায়, কাজ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে শ্বেতা ও আরিয়ান পর্নোগ্রাফির ব্যবসা চালাতেন।

বাংলাদেশী নিউটন দাস কাকদ্বীপের ভোটার

পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা পলাতক মা ও ছেলের খোঁজে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, উত্তর ২৪ পরগনার যে তরুণীকে আটকে রাখা হয়েছিল, তাঁকে একবার কুলু-মানালিও নিয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত মা ও ছেলে। পুলিশ এই ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে।

বাংলাদেশী নিউটন দাস কাকদ্বীপের ভোটার

শুক্রবার সকালে বাঁকড়া থেকে পালিয়ে আসা ২৪ বছর বয়সী ওই তরুণী খড়দহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শনিবার বিকেলে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট থেকে সেই অভিযোগ হাওড়া সিটি পুলিশের কাছে পৌঁছায়। এরপর ডোমজুড় থানার পুলিশ তদন্তে নামে। বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র‌্যাফ নিয়ে বাঁকড়ার ফকিরপাড়ার ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে তদন্তকারীরা দেখেন, দরজায় তালা ঝুলছে।

পুলিশের মতে, ওই বাড়িতে তল্লাশি চালানোর জন্য তদন্তকারীরা অনুমতি নিতে আদালতের কাছে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। শ্বেতা ও আরিয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা প্রযোজনা সংস্থা খুলে অল্পবয়সীদের প্রলুব্ধ করতেন এবং এর আড়ালে পর্নোগ্রাফির ব্যবসা চালাতেন। অনেককে জোর করে দেহব্যবসায় নামানোর অভিযোগও রয়েছে। সোদপুরের নির্যাতিতার সঙ্গে এমনটাই ঘটতে যাচ্ছিল বলে তাঁর মায়ের দাবি।

জাতীয় মহিলা কমিশন এই ঘটনার পর তৎপর হয়েছে এবং স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ করছে। কমিশনের সদস্যা অর্চনা মজুমদার জানিয়েছেন, তাঁরা এই জঘন্য ঘটনার কথা সংবাদমাধ্যম থেকে জেনেছেন এবং স্থানীয় থানাকে জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার জন্য পুলিশকে সহযোগিতা করতে বলবেন। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনা বাড়ছে, যা মহিলাদের নিরাপত্তাহীনতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।