রাজকুমার সরদার, সভাপতি, হিন্দু মিলন সঙ্ঘ

দস্যিপনায় ভরা সেই ছোট্ট ছেলেটি সকলের অগোচরে অনেক বড় হয়ে গিয়েছিলেন । সকলের নজরে এল যখন সে এই পৃথিবীর খেলা শেষ করে নতুন করে ফিরে আসার স্বপ্ন নিয়ে ফিরে গিয়েছেন অজানার দেশে । তখনই তো অনেকেই স্মরণ সভার আয়োজন করল বিভিন্ন জায়গায় । কেউ স্মরণ করছে ছেলেবেলার ছোট্ট ছোট্ট কথা । কেউ আবার কর্মবীরের কার্যপ্রণালীর বিবরণ । কেউ আবার আশ্রয়দাতা হিসেবে বর্ণনা করল। একটা মানুষের কতরকম রূপ হতে পারে স্মরণ সভায় সামান্যতম একটা প্রকাশ পায়। কিন্তু বাস্তবিক দীর্ঘ জীবনের ছোট্ট ছোট্ট ঘটনা অজানার অন্ধকারে অযত্নেই পড়ে থাকে । একটা মানুষই তাঁর কর্মের মাধ্যমেই এই পৃথিবীতে একটা দাগ রেখে যায় । যা মানবজীবনে ছাপ থেকে যায়। সমাজের কাছে রেখে যায় তাঁর ভাবনা যা সমাজ সংস্কারের কাজে লাগে ।

যুগোপযোগী সমাজ সংস্কারক কেই মানবসমাজ সম্মান করে। বিবেকানন্দ আজ নেই কিন্তু আছে তাঁর ভাবনা যা আমরা বয়ে চলেছি। আর এই ভাবনার পথে চলা মানুষগুলো বর্তমান সমাজের সংস্কারক হয়েছেন নিজস্ব প্রয়োগ পদ্ধতি দিয়েই। যেমন যুগনায়ক নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস , যেমন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ডক্টরজী , যেমন ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় , যেমন পথপ্রদর্শক তপন ঘোষ । এঁরা সকলেই সমাজ সংস্কারক । প্রত্যেকেই নিজস্ব ভাবনা দিয়েই সমাজের সংস্কার করে গিয়েছেন । দীর্ঘ জীবনের কতটুকুই বা জানতে পেরেছি । বা জানার চেষ্টা করেছি । সমাজের জন্য কিছু করার তাগিদ নিয়েই যেন এঁরা জন্মেছিলেন । এঁদের প্রেম শুধুমাত্র দেশ ও সমাজের জন্যই ।কর্মযোগের মধ্য দিয়ে পশু থেকে উন্নীত হয়ে মানুষে পরিণত হয়,আর মানুষ তার সঠিক কর্মযোগের মধ্য দিয়ে দেবতা হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।উদাহরণস্বরূপ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, ভগবান শ্রীরাম চন্দ্র, স্বামী বিবেকানন্দ,রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব প্রমুখ।তাই আমাদের গুরুদেব পরমপূজ্য মাননীয় ঘোষ মহাশয় উনার নিঃস্বার্থ কর্মপদ্ধতি কর্মযোগে রূপ পায়।আর এই কর্মযোগের মধ্য দিয়ে আমাদের কাছে দেবতারূপি গুরুদেবে পরিণত হয়েছেন।🙏🙏🙏🙏🙏