বাংলাদেশ মুসলমানদের আপত্তিতে হিন্দুদের দুর্গাপূজা বন্ধ করে দেন বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসন, প্রতিবাদে বাংলাদেশের হিন্দুরা রাস্তায় মা দুর্গার মূর্তি রেখেই পূজা অর্চনা করেন।

আমাদের ভারতবর্ষের প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ (যদিও এক সময় এই বাংলাদেশ ভারতবর্ষের বঙ্গ রাজ্য হিসাবে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ একসঙ্গে অবস্থান করেছিল)।

পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হয় বাংলাদেশ নামকরণের ঘটনাক্রমে ভারতবর্ষের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অবদান অপরিহার্য। এবং সেই সময় মুক্তিযুদ্ধের নায়ক শেখ মুজিবুর রহমান ও ইন্দিরা গান্ধীর চুক্তি হয়েছিলেন পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হয় গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র নির্মাণ হবে এবং সংখ্যালঘুদের অর্থাৎ হিন্দুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।

সেই সকল চুক্তি অগ্রাহ্য করে বাংলাদেশ ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত হলো।

ইসলামে মূর্তি পূজা নিষিদ্ধ তাই ইসলামের অনুসারীরা আপত্তি জানানোর কারণে বাংলাদেশের ঢাকায় টিপু সুলতান রোডের শত বছরের ঐতিহাসিক শঙ্খনিধি মন্দিরে মা দুর্গার পূজা করতে দিলেন না ইসলামিক রাষ্ট্র বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসন।

বাংলাদেশের হিন্দুরা সংখ্যালঘু এটা কারও অজানা নয়। একটা ইসলামিক রাষ্ট্রে সংখ্যালঘু নিজ ধর্ম পালন করতে পারবে এটা ভাবাই যায় না। যদি তাই হত তাহলে বাংলাদেশের হিন্দুরা তাদের চৌদ্দপুরুষের ভিটেমাটি ছেড়ে ভারতবর্ষে পলায়ন করতেন বাধ্য হতেন না।

হিন্দুরা পালিয়ে কোথায় যাবেন ? পালাতে পালাতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে তাই আজকের বাংলাদেশের হিন্দু ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা ওই মন্দিরের সামনে মা দুর্গার মূর্তি রেখে দেবী আরাধনা করলেন। স্থানীয় বিশাল সংখ্যক মুসলমান ওই মন্দিরের সামনে জড়ো হয়ে আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিতে থাকে।

তাই এখনো সময় আছে পৃথিবীর সকল হিন্দুর প্রতিবাদ জানানো উচিত এবং বাংলাদেশ সরকারকে সংখ্যালঘু হিন্দুর ধর্ম আচরনে স্বাধীনতা প্রয়োগ এবং জীবন-জীবিকায় সুনিশ্চিত ব্যবস্থা করতে হবে।

তাই হিন্দু মিলন সংঘের পক্ষ থেকে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী মাননীয় নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমার একান্ত অনুরোধ আপনারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলে বাংলাদেশ হিন্দুর সুরক্ষা নিশ্চিত করুন এবং হিন্দুদের স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করতে সহযোগিতা করুন।।

বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসনকে ধিক্কার জানাচ্ছি হিন্দু মিলন সংঘের পক্ষ থেকে।।