হিন্দু মিলন সংঘের পক্ষ থেকে সকল হিন্দুকে জানাই আমন্ত্রণ🙏🙏🙏🙏🙏

যে জাতি রক্ষককে ভুলে যায় আর ভক্ষককে পূজা করে সে জাতিকে বাঁচাবে কে ? ১৯৪৬ সালের সেই ভয়ঙ্কর দিনটাতে কলকাতা শহরে হিন্দুদের রক্ষক ছিলেন গোপালচন্দ্র মুখোপাধ্যায় , আর ভক্ষক ছিলেন হোসেন সাহিদ সুরাবর্দী। গোপালচন্দ্র মুখোপাধ্যায় কোনো নেতা ছিলেন না , রাজনীতি করতেন না । তিনি ছিলেন একজন সাধারণ ব্যক্তি । আর সুরাবর্দী ছিলেন মুসলিম লীগের নেতা ও অখণ্ড বাংলার মুখ্যমন্ত্রী । দিনটা ছিল ১৬ ই আগস্ট । ১৯৪৬ সালের এই দিনটাকে মুসলিম লীগের সর্বভারতীয় সভাপতি মহম্মদ আলি জিন্না ‘প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস’ ( Direct Action Day ) হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন , ভারতকে ভাগ করে পাকিস্তান আদায়ের দাবীতে । দাবীটা সকলে বুঝেছিল , কিন্তু প্রত্যক্ষ সংগ্রামটা কার বিরুদ্ধে — সেটা হিন্দুরা বোঝেনি , এমনই বুদ্ধিমান ছিলেন আমাদের বাপ ঠাকুর্দারা ! আর সংগ্রামটা কিরকম তাও বোঝেননি আমাদের পূর্বপুরুষেরা । তাঁরা মনে করেছিলেন — এটা বুঝি গান্ধী বা আন্না হাজারের মত ঝাণ্ডা নেড়ে অনশন করার মত সংগ্রাম । তাই ১৬ ই আগস্ট সকাল থেকে যখন মুসলিম লীগের পোষা গুণ্ডারা কলকাতার কয়েকটি পাড়ায় আক্রমণ করা শুরু করে দিল , তখনও হিন্দুদের চোখ খোলেনি । তাই বিকালে কলকাতার প্রগতিশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দুরা মনুমেন্ট ময়দানে গিয়েছিল মুসলিম লীগ ও ভারতের কম্যুনিস্ট পার্টির যৌথ মিটিং শুনতে । সেই মিটিংয়ে একসঙ্গে বাঁধা হয়েছিল চাঁদতারা মার্কা সবুজ পতাকা ও কম্যুনিস্টদের লাল পতাকা । মঞ্চ আলো করে একসঙ্গে বসেছিলেন কমরেড জ্যোতি বসু , হোসেন সুরাবর্দী ও খাজা নাজিমুদ্দিন । সেই মিটিংয়ে মুসলিম লীগের সঙ্গে গলা মিলিয়ে জ্যোতি বসু শ্লোগান দিলেন — ‘ আগে পাকিস্তান দিতে হবে , তবেই ভারত স্বাধীন হবে ।

বিকালবেলায় এই মিটিং শেষে ফেরার পথেই মুসলমানরা কাঁপিয়ে পড়ল ধর্মতলায় হিন্দুদের উপর ও হিন্দু দোকানগুলির উপর । ১৯৪৬-এর ১৬ , ১৭ , ১৮ আগস্ট গোটা কলকাতায় তিনদিন ধরে যে হত্যালীলা চলল আধুনিক ইতিহাসে সে নৃশংসতা বিরল । সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত ও নিরীহ হিন্দুরা মুসলিম লীগ গুণ্ডাদের হাতে কচুকাটা হতে লাগল । কলকাতার রাস্তা হিন্দুর রক্তে লাল হয়ে গেল । সর্বত্র মানুষের লাশ পড়ে । স্তব্ধ হয়ে গেল জনজীবন । এই তিনটে দিনকে বর্ণনা করার মত ভাষা মানুষের কাছে ছিল না । ইংরাজি স্টেটসম্যান পত্রিকা এই ঘটনার হেডিং করেছিল ” The Great Calcutta Killing ” । অন্য সাংবাদিকরা লিখেছিলেন— ” Week of Long Knives ” ।

ওই সময় একজন বিদেশী সাংবাদিক কলকাতায় উপস্থিত ছিলেন । তাঁর নাম ফিলিপ ট্যালবট । তিনি হিন্দু বা মুসলমান কোন পক্ষভুক্ত না হওয়ায় তাঁর বর্ণনাকে গবেষকরা নিরপেক্ষ ও সঠিক বলে মনে করেন । এই সাংবাদিক Institute of Current World Affairs ‘ সংস্থার প্রধান ওয়াল্টার রজার্সকে চিঠিতে লিখেছেন — ভারতের বৃহত্তম শহর ও বৃটিশ সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটা যেন নিজেকে নরখাদকে পরিণত করার কাজে লিপ্ত হয়েছে । শহরের সমস্ত রাস্তায় দোকানগুলির একটিরও দেওয়াল বা দরজা গোটা নেই । সমস্ত দোকান লুট হয়েছে । আর গুণ্ডারা যেগুলো লুট করতে পারেনি , সেগুলো রাস্তায় ছড়ানো । আর ছড়ানো চারিদিকে মানুষের লাশ । টাটকা লাশ , গরমে পচে যাওয়া লাশ , অঙ্গহীন লাশ , থেঁতলে যাওয়া লাশ , ঠেলাগাড়িতে স্তূপাকৃতি লাশ , নর্দমায় লাশ , খালি জায়গায় স্তূপ হয়ে থাকা লাশ , শুধু লাশ আর লাশ । ফিলিপ ট্যালট আরও লিখেছেন- শুধু ৩৫০০ লাশ সংগ্রহ করে গোনা হয়েছে , আর কত লাশ যে হুগলী নদী দিয়ে ভেসে গিয়েছে , কত লাশ হাইড্রেনে আটকা পড়ে আছে , কত লাশ যে ১২০০ স্থানে দাঙ্গার আগুনে পুড়ে গিয়েছে , আর কত লাশ মৃতের আত্মীয়রা তুলে নিয়ে গিয়ে সৎকার করে নিয়েছে তার সংখ্যা কেউ বলতে পারবে না । তিনদিন পর শহরে সেনা নামানো হয়েছিল । সেনাবাহিনীর অনুমান – ৭০০০ থেকে ১০,০০০ লোক এই দাঙ্গায় নিহত হয়েছে ।

এই বীভৎস নরসংহারের প্রত্যক্ষ নায়ক ছিলেন মুসলিম লীগের সুরাবর্দী । এই নরঘাতক মুখ্যমন্ত্রী সেদিন কলকাতার জনসভায় ঘোষণা করে দিয়েছিলেন যে , পাকিস্তান দাবী আদায়ের প্রত্যক্ষ সংগ্রামের সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হবে । অর্থাৎ তিনি মুসলিম গুণ্ডাদেরকে প্রত্যক্ষ উদ্ধানি নিয়েছিলেন । শুধু তাই নয় , ঐ নরঘাতক সেদিন লালবাজারে পুলিশ সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুমে বসে থেকে পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রেখে হিন্দুদেরকে কচুকাটা করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন । নিউ মার্কেট এলাকার বোম্বাইয়া , কর্ণওয়ালিশ বস্তির মিনা পাঞ্জাবি ও হ্যারিসন রোডের মুন্না চৌধুরী — এই তিনজন কুখ্যাত গুণ্ডা আগে থেকেই মুসলিম লীগের সঙ্গে যুক্ত ছিল । এরা হিন্দু নিধনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিল ।


আঘাতের সেই প্রচণ্ড ধাক্কায় হিন্দুরা যেন অবশ হয়ে পড়েছিল । প্রতিকার ও প্রতিক্রিয়া তো দুরের কথা , আত্মরক্ষাটুকু করতেও তারা অসমর্থ ছিল । নেহেরু তখন দিল্লীতে অন্তর্বর্তীকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী । তিনি ও তাঁর শুরু গান্ধীজী কলকাতার এই হত্যালীলার সময় নপুংসকের ভূমিকা পালন করেছিলেন । তাই হিন্দুরা মনে করেছিল যে এটাই তাদের নিয়তি ।

বাংলার ও কলকাতার হিন্দুর সেই অবশ ও বিবশ অবস্থায় দু’দিন পর সামান্য সাড়া ফিরিয়ে এনেছিলেন যে অল্প কয়েকজন অসমসাহসিক ব্যক্তি , তাঁদের মধ্যে প্রথম ও অন্যতম ছিলেন শ্রী গোপাল মুখোপাধ্যায় । মধ্য কলকাতার বৌবাজার অঞ্চলে মলঙ্গা লেনে তাঁর বাড়ি । বৌবাজারেই তাঁর একটি পাঁঠার মাংসের দোকান ছিল বলে তিনি ‘ গোপাল পাঁঠা ‘ নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন । বিপ্লবী অনুকুলচন্দ্র মুখার্জী তাঁর নিকট আত্মীয় ছিলেন । রাজনৈতিক দৃষ্টি ভঙ্গীতে তিনি নেতাজী সুভাশ্চন্দ্রের আদর্শে বিশ্বাস করতেন । ফলে গান্ধীর অহিংসা নীতিতে তাঁর বিন্দুমাত্র বিশ্বাস ছিল না । তিনি বিশ্বাস করতেন , ইংরেজকে বলপ্রয়োগ করেই ভারত থেকে তাড়াতে হবে । কিন্তু কংগ্রেসের কিছু নেতার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল । বিশেষ করে তাঁর প্রতিবেশী কগ্রেস নেতা ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ ছিল ।

গোপাল মুখোপাধ্যায় তাঁর মতাদর্শ অনুসারেই ‘ভারত জাতীয় বাহিনী ‘ নামে একটি ছোট সংগঠন পরিচালনা করতেন । বিপ্লবী চিন্তাধারা অনুযায়ী সেখানে শক্তি ও অস্ত্রের চর্চা হত । এই সংগঠনটি সম্বন্ধে সাধারণ মানুষ বেশি অবহিত ছিল না । কিন্তু ১৯৪৬-এর আগস্ট গণহত্যার সময় গোপাল পাঁঠার নেতৃত্বে ‘ ভারত জাতীয় বাহিনী ‘ কলকাতায় হিন্দু প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল । হিন্দু রক্ষায় ও মুসলিম দুষ্কৃতি দমনে অত্যন্ত বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল গোপাল মুখোপাধ্যায়ের অনুগামীরা । সেদিন কলকাতার হিন্দুদের চোখে তিনি পরিত্রাতা রূপে চিহ্নিত হয়েছিলেন ।

এছাড়া সেদিনের সেই গৃহযুদ্ধে হিন্দুরক্ষার বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন শ্রী যুগল কিশোর ঘোষ । কলকাতা শহরের শিখ এবং বিহারী গোয়ালারাও এই কাজে বশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন । আর সার্বিক নেতৃত্ব নিয়েছিলেন ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী।

হিন্দুরা প্রথমে মার খেয়ে যখন পাল্টা মার দিতে শুরু করল , তখন হিন্দুঘাতক সুরাবর্দী ইংরেজ সরকারকে অনুরোধ করে সেনাবাহিনী নামালেন । কয়েকদিনের মধ্যেই মুসলিম লীগ বুঝতে পারুল যে তাদের ক্ষতির পরিমাণ বেড়েই চলেছে । তখন মুসলিম লীগের ছাত্র সংগঠনের প্রধান জি.জি. আজমীরী ও মুসলিম ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য শেখ মুজিবর রহমান ( পরবর্তীকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ) গোপাল মুখোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে করজোড়ে অনুরোধ জানালেন এই রক্তপাত বন্ধ করার জন্য ।

তারপর হল নোয়াখালি । ১৯৪৬-এর ১০ই অক্টোবর কোজাগরী পূর্ণিমার দিন থেকে পূর্ববঙ্গের দুর্গমি জেলা নোয়াখালিতে আর এক সাম্প্রদায়িক মুসলিম লীগ নেতা গোলাম সারোয়ারের নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল হিন্দু নিধন । ইতিহাসের আর এক কালো অধ্যায় ।

এল ১৯৪৭। ১৪ই আগস্ট দেশ ভাগ হবে , আগে পাকিস্তান জন্ম নেবে । তারপর ১৫ ই আগস্ট ভারতকে স্বাধীনতা দেওয়া হবে । মোহনদাস গান্ধী ঠিক করেছিলেন — ওইদিন তিনি দিল্লীতে থাকবেন না । নোয়াখালিতে গিয়ে নিপীড়িত হিন্দুর পাশে থাকবেন । সেই উদ্দেশে ৯ই আগস্ট তিনি কলকাতায় এলেন । কিন্তু এখানে সুরাবর্দী ও মুসলমানরা তাঁর কাছে গিয়ে অনুরোধ করল তাদেরকে বাঁচাতে । কারণ , দেশভাগের ফলে পুলিশ বাহিনীর মুসলিম পুলিশরা পাকিস্তানে চলে যাচ্ছে । ফলে এখানে তারা নিরাপদ নয় । তাদের এই আবেদন শুনে গান্ধী নোয়াখালির হিন্দুদের কথা ভুলে গিয়ে কলকাতাতেই থেকে গেলেন মুসলিম জন্য । হিন্দুরা তাঁকে ব্যঙ্গ করতে লাগল । কিন্তু তিনি অবিচলিত থেকে হিন্দুদের কাছে আবেদন জানালেন , মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষ ত্যাগ করতে এবং সমস্ত অস্ত্র তাঁর কাছে জমা করতে । গান্ধীজী দুবার ব্যক্তিগতভাবে গোপাল মুখোপাধ্যায়কে আবেদন করলেন অস্ত্র জমা দিতে । গোপালবাবু তাতে কর্ণপাত করেননি । তখন গান্ধীজীর সচিব গোপালবাবুকে জিজ্ঞাসা করলেন , কেন তিনি অস্ত্র জমা দিচ্ছেন না ? গোপালবাবু তাঁকে দৃঢ়কন্ঠে উত্তর দিলেন — হিন্দুদের সম্মান রক্ষায় ব্যবহারযোগ্য অস্ত্র তো দূরের কথা , একটা সূঁচ পর্যন্ত তিনি জমা দেবেন না ।

গোপাল মুখোপাধ্যায়ের কলকাতায় জন্ম ৭ সেপ্টেম্বর ১৯১৩ । মৃত্যু ১০ ফেব্রুয়ারী ২০০৫ ।

এই কিছুদিন আগে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী দীপুমণি কলকাতা এসেছিলেন । এখানে এসে তিনি মেদিনীপুর(শহর) গেলেন ৪৬-এর হিন্দুঘাতক সুরাবর্দীর বাড়ি দেখতে । ওখানেই সুরাবর্দীর জন্ম হয়েছিল । অর্থাৎ ভারত বিভাজনকারী হিন্দু গণহত্যাকারী হোসেন সুরাবর্দীর বাড়ি আমরা এখনও যত্ন করে রক্ষণাবেক্ষণ করছি । কিন্তু ১৯৪৮-৪৭-এ হিন্দুর পরিত্রাতা গোপালচন্দ্র মুখোপাধ্যায়কে আমরা ভুলে গিয়েছি ।

ইতিহাসকে যারা ভোলে , ইতিহাস তাদের ক্ষমা করে না ।


সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি জোটবদ্ধ মুসলিম ব্লক ভোটের দাসত্ব করতে করতে ১৯৪৮-৪৭ এর হিন্দুর আর্তনাদ ভরা সেই রক্তাক্ত দিনগুলি মানুষকে ভুলিয়ে দিতে চায় । তার পরিণামে যে সেই দিনগুলোই আবার বাংলার গ্রামে গ্রামে ফিরে আসছে — এই ভয়ঙ্কর সত্যটিকেও চাপা দিতে চায় তারা । কিন্তু তা আর চাপা থাকছে না । ধুলাগড়-বাদুড়িয়া-বসিরহাট কালিয়াচক-ইলামবাজার-চাপড়া ইসলামপুর-নলিয়াখালি-উস্তি-মল্লিকপুর-কালিগঞ্জ-হাঁসখালি-সমুদ্রগড় পথগ্রামের ঘটনা আবার বাংলার আকাশে অশনি সংকেত ।

এই অবস্থায় হিন্দু মিলন সংঘের পক্ষ থেকে ১৯৪৬-৪৭-এর সেই ইতিহাসকে মানুষের সামনে তুলে ধরার ক্ষুদ্র প্রয়াস আমরা করছি ১৬ ই আগস্টকে সামনে রেখে ।

আসুন , এবছর আমাদের মাতৃভূমির বেদনাদায়ক বিভাজনের ৭৫ বছরে এই ১৬ই আগস্ট দিনটিতে হিন্দুর পরিত্রাতা আমাদের বীর পূর্বপুরুষ গোপালচন্দ্র মুখোপাধ্যায়-কে আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই । সংকল্প নিই , মৌলবাদী শক্তির কাছে মাথা নত করে আর একবার দেশবিভাগ মেনে নেব না । তাঁর শৌর্য বীর্য থেকে প্রে রণা নিই ও বাংলার মাটি রক্ষার শপথ নিই ।

গৈরিক অভিনন্দন সহ
হিন্দু মিলন সংঘের কর্মীবৃন্দ

 স্থান ঃ— ওয়েলকাম গেস্ট হাউস

লক্ষীকান্তপুর স্টেশনে নেমে বিজয়গঞ্জ বাজার থেকে পূর্বদিকে পাওয়ার হাউসের শেষে ডানদিকে।
সময় বেলা ১টা , ১৬ই আগস্ট ২০২২ মঙ্গল বার

এই মহতী অনুষ্ঠানে সবাইকে অংশগ্রহণ করতে ও হিন্দু প্রতিরোধের কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হিন্দু মিলন সঙ্ঘকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে সবাইকে বিনীত অনুরোধ জানাই্