সংঘ এর শিক্ষায় শিক্ষিত নয়। একজন ফেরিওয়ালা হিসেবে জীবন শুরু করেছিলেন। ছিল অন্যায় এর সাথে আপোস হীন লড়াই এর মানসিকতা । যা পরম পূজ্য তপন ঘোষ মহাশয়ের শিক্ষা পেয়ে একজন হিন্দুত্ববাদী ও দেশপ্রেমিক হওয়ার ব্রত নিয়েছিলেন।
বিজয়া সম্পর্কে যেটুকু জানতে পেরেছিলেন তা নিষ্ঠার সাথে পালন করতে চেষ্টা করে চলেছেন হিন্দু মিলন সংঘ এর সভাপতি রাজ কুমার সরদার মহাশয়।
সভাপতি মহাশয় এর বক্তব্যের মাধ্যমে প্রকাশ করেন।
মর্যাদাপুরুষোত্তম শ্রীরামচন্দ্রের রাবণ বধ এবং লঙ্কা জয় ও মা সীতা দেবীর উদ্ধার। এই শ্রীলঙ্কা জয়ে আনন্দ উল্লাস করেছিলেন শ্রীরামচন্দ্রের বানর সেনা। তাই সেই সময় থেকে আমরা ওই দিনটাকে বিজয় দশমী হিসাবে পালন করে থাকি। আমাদের দেশ মাতৃকা ভারত বর্ষ খন্ডিত বিখণ্ডিত হয়ে গেল। তা আমরা এখনো উদ্ধার করতে পারিনি। অথচ আমরা বিজয় দশমীর নামে আনন্দ করে চলেছি। তাই বিজয় দশমীর দিনে আমাদের শপথ গ্রহণ করার দিন। আনন্দ করার দিন নয়। আগামী বছর আগামী বছর ঠিক এমনিভাবে যতদিন না আমরা অখন্ড ভারতবর্ষ তৈরি করতে পারছি। ততদিন আমরা শপথ গ্রহণ করব। কেমন করে ইহুদীরা নিজেদের দেশ হারিয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রে বসবাস করেও বছরের নির্দিষ্ট দিনে শপথ গ্রহণ করতেন আগামী বছর আগামী বছর আমরা জেরুজেলেম যাব। আজ ইহুদিদের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। তাই একদিন না একদিন আমাদেরও লক্ষ্য পূরণ হবে। অখন্ড ভারত বর্ষ পুনর্গঠন হবে।
লঙ্কা জয়ের পর শ্রী শ্রী রামচন্দ্র যেদিন অযোধ্যাতে ফিরেছিলেন। সেই দিন অযোধ্যাবাসী আনন্দে রামচন্দ্র কে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য অযোধ্যা নগর আলোয় আলোকিত করেছিলেন।ঘরের ছেলে ঘরে ফিরছেন ১৪ বছর পর। সেইদিনটিকে দেওয়ালি হিসাবে আজও আমরা পালন করে বাড়ি-ঘর আলোয় আলোকিত করে শৌর্য্যদিবস হিসেবে পালন করার রীতি পালন করে আসছেন সমগ্র ভারতবাসী।
যখন বিশ্বে অন্য কোন ধর্মীয় সম্প্রদায়র সৃষ্টি হয়নি , তখন প্রত্যেক ভারতবাসীই গর্ব অনুভব করতেন।
হাজার বছর আগে থেকেই শুরু হয় আমাদের গর্বকে খর্ব করার চক্রান্ত । কখনত্ত কৌশলে কখনত্ত ভয় দেখিয়ে কখনত্ত লোভ দেখিয়ে ভারতবাসীকেই খণ্ডিত করা শুরু হয় যা আজও ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে ওরা। আর হিন্দুরা যেন সবকিছুই মেনে নিচ্ছে। আসল কারণ হিন্দুরা উদাসীন ও ক্ষমাশীল।






























































আমি যেদিন ধর্ম রক্ষার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিলাম সেদিন থেকেই হিন্দুধর্মের শত্রুদের সামনে নিজেকে প্রকাশ করেছি। আমার সাথে আমার অনেক সহযোগী এগিয়ে আসে। পরিণতি যা হয় আমার মত অনেকেরই আইনি জটিলতায় পড়তে হয় । ধর্ম রক্ষার জন্য আমরা অনেকেই শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান দর্শনের সৌভাগ্য লাভ করেছি । পরম পুজ্য তপনদাদা যতদিন ছিলেন আমাদের প্রত্যেককেই ভালোবাসা দিয়ে আপন করে নিয়েছিলেন। আজ প্রায় তিন বছর সেই সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত ।

























































তবে এখনও সেই মনের জোর ধরে রাখতে পেরেছি কিছু মানুষের কৃত্রিম ভালোবাসা পাই বলেই। উনাদের ভালোবাসার দান আমার সহযোদ্ধাদের ও মৈত্রী বোনেদের কাছে পৌঁছে দিতে পারলাম ।
যে সকল হৃদয়বান মানুষ আমাকে সাহায্য করছে তাদেরকে আমি আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে কোটি কোটি প্রণাম জানাই।🙏🙏🙏🙏🙏
