আবার এক হিন্দুর উপর ঘটে যাওয়া অত্যাচারের ঘটনা।

ঘটনার স্থান মধুসূদনপুর থানা মগরাহাট।

গত ইংরাজি ৩০/০৯/২০২৩ শনিবার দুপুরে আনুমানিক ২.৩০ মিনিটে দলিত হিন্দু (SC) সম্প্রদায়ের বছর সাতেকের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে এক মুসলিম নাম জহুর সর্দার (বয়স আনুমানিক ৫৭ বছর)।

আমি মুসলমান শব্দটি ব্যবহার করতে বাধ্য হলাম। কেননা পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষে বসবাসকারী কিছু মুসলমানদের নাম এবং পদবী দেখে মুসলিম না হিন্দু বোঝার উপায় নেই। সমাজকে বিভ্রান্ত করার জন্য্যই হিন্দুদের নাম ও পদবি ধারণ করে।

ধর্ষক জহুর সর্দারের ঠিকানা , গ্রাম — মধুসূদনপুর থানা —মগরাহাট। ধর্ষণকাণ্ডটি ঘটে হারুন সরদারের বাগান বাড়িতে, বাগানবাড়িটি উত্তর রাধানগর রেল স্টেশনের পার্শ্ববর্তী খাল-ব্রিজের পাশে। এই

অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার দাদা ভয় দেখিয়ে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি বাইরে প্রকাশ করতে দেয়নি কয়েক দিন। যেহেতু জহুর সর্দারের দাদা হারুন সর্দার শাসকদলের জনপ্রিয় নেতা।

পরে যখন শিশুটি যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আরও অসুস্থ হয় ও প্রচুর ব্লিডিং হতে থাকে তখন বৃহস্পতিবার (৫/১০/২০২৩ তারিখে) গ্রামের পার্শ্ববর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং আশা কর্মীরা মগরাহাট থানায় খবর পাঠায়। খবর পাওয়ার সাথে সাথে মগরাহাট থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং তৎক্ষণাৎ আসামি জহর সর্দারকে গ্রেফতারও করেন।

তারপর এই খবর যেন দাবানলের মতন ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী হিন্দু গ্রামগুলিতে। রবিবার (০৮/১০/২০২৩) হিন্দুরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলে। অর্থাৎ হারুন সর্দারের বাগান বাড়িতে। কিছু গাছ পালা নষ্ট করে। ঘটনাস্থলে প্রশাসনের কয়েকজন আধিকারী উপস্থিত ছিলেন এবং ওনারা এই ঘটনার ভিডিও করছিলেন। উন্মত্ত জনতা আবেগ তাড়িত হয়ে উক্ত প্রশাসনিক অধিকারীদের উপরেও চড়াও হয় বলে বিশেষ সূত্রে খবর।

তার ফলস্বরূপ দলিত SC বড়ৎ গ্রামে বাড়ি বাড়ি পুলিশী অত্যাচার চলে রাতের অন্ধকারেই , ভাঙচুর হয় ঘরবাড়ির আসবাবপত্র মহিলাদের চলে মারধর এবং বেশ কয়েকজন গ্রেফতারও হয়।

এখনও পর্যন্ত গ্রামগুলোতে আতঙ্কের বাতাবরণ । বহু হিন্দু-পরিবারই গ্রাম ছাড়া।

আমরা পরম পূজ্য তপন ঘোষ মহাশয়ের আদর্শ এবং কৌশলগত শিক্ষা নিয়ে “হিন্দু মিলন সংঘে”র পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন চারটি ভাগে বিভক্ত হয়ে অতি সাধারণ পোশাকে ওই এলাকায় বিভিন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছি , ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি, নির্যাতিতা পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি, গ্রেপ্তার হওয়া হিন্দু পরিবার গুলোর সঙ্গে দেখাও করেছি এবং ডায়মন্ড হারবার আদালতে হিন্দু মিলন সংঘের পক্ষ থেকে কেসগুলোর উপরে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকার সব রকম আশ্বাস দিয়েছেন হিন্দু মিলন সংঘের সভাপতি রাজ কুমার সরদার মহাশয়।

হিন্দু মিলন সংঘের পক্ষ থেকে মগরাহাট থানা এবং মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর কাছে বিনীত অনুরোধ যে দলিত হিন্দু শিশু কন্যাটির উপর ঘটে যাওয়া জঘণ্য অপরাধের যেন সুবিচার হয় এবং ধর্ষণকারীর যেন কঠোর শাস্তি হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। কামদুনির ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে ।

“ হিন্দু মিলন সংঘে”র পাশে থাকুন

“হিন্দু মিলন সংঘে”র হাত শক্ত করুন।

জয় মা কালী

হর হর মহাদেব।

তপন ঘোষ আমর রহে।

Rajkumar Saradar