বাড়ির অমতে এক মুসলিম যুবককে বিয়ে করায় সেই বিয়ে মেনে নিতে না পেরে অবশেষে রীতিমত শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করলেন তার আত্মীয় স্বজন।

উল্লেখ্য গত ৮ই মার্চ উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর মহকুমার চোপড়া থানার সোনাপুর হাটেস্বপ্না সিংহ নামক বিএ প্রথম ব‌র্ষের ছাত্রী একই থানার দাসপাড়া ফাঁড়ির গোয়াবাড়ির আসিরুল ইসলামের সঙ্গে পালিয়ে যায় । থানায় অভিযোগ জানানোর পর অবশেষে পুলিশ রায়গঞ্জ থেকে দুজনকে আটক করে নিয়ে আদালতে হাজির করে । কিন্ত সেখানে লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়ে সেই প্রেমে মশগুল মেয়েটি পরিষ্কার জানিয়ে দেয় সে সাবালিকা এবং স্বেচ্ছায় মুসলিম যুবকের সঙ্গে গিয়েছে । সে কারণেই আদলতে মামলা আর ধোপে টেকেনি ।

এদিকে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, মেয়ে পরিবারের অমতে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করায় তাঁরা গভীর মর্মাহত। তারা মনে করেন মেয়েটি পরিবারের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে সে কারণে আত্মীয় পরিজনদের কেউ এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছেন না । সেই কারনেই এই শ্রাদ্ধের আয়োজন।

এদিন রীতিমত পুরোহিত ডেকে সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । গ্রামবাসীদের পাশাপাশি আত্মীয় পরিজনদের আমন্ত্রণ করে খাওয়ানো হয় । এদিন শতাধিক গ্রামবাসী জীবন্ত মেয়েটির শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে পাত পেড়ে খাওয়া দাওয়া করেন ।

গ্রামের যারা আমন্ত্রিত ছিলেন তারাও মেয়েটির সম্পর্ক মানছেন না , তারা জানান লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে এটা একটি শিক্ষণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে এলাকার উঠতি হিন্দু যুবক যুবতীদের কাছে ।

তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমি বিশ্বাস করি মেয়েটিকে কোনো ভাবে দলবল নিয়ে উদ্ধার করে ছেলেটিকে আচ্ছা করে —— দিলে ভালো হতো।কট্টর পন্থীরা আমাদের বাড়ির ছেলেদের সাথে নিজেদের মেয়ের বিয়ে হলে যা যা করে সেটাই যেদিন আমরা করতে পারবো সেটাই হবে উল্লেখ যোগ্য উদাহরন আর আমাদের বাড়ির মেয়েদের কাছে শিক্ষণীয় শিক্ষা। যদিও জানি এলাকা টা হামিদুলের সেখানে ঢুকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা সহজ নয়।তবে কোনো ভাবে ছেলেটিকে হাতে পাওয়ার চেষ্ঠা না করে শুধু শ্রাদ্ধ করে লাভ জেহাদ করার ওদের উৎসাহ কে আরও

বারানো কে আমি কিন্তু সাপোর্ট করিনা ব্যক্তিগত ভাবে ।ওরা তো এটাই চায় আমাদের মেয়েদের ধর্ম হীন পরিচয় হীন পরিবার হীন করতে ।সেটাই তো আমরাই করে দিচ্ছি এভাবে শ্রাদ্ধ করে । মুলো টিকে ধরে সাজা দেবার চেষ্টা না করে ।