পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার পুলিশ এক মহিলার পাশপোর্ট আবেদনে জাল জন্ম শংসাপত্র জমা দেওয়ার ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত ব্যক্তির নাম শেখ হাসনত জামান, যিনি কচি মাস্টার নামেও পরিচিত। তিনি ভাতার থানার পাটনা গ্রামের বাসিন্দা এবং বলগনা বাজার এলাকায় একটি সাইবার ক্যাফে চালাতেন। শনিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, হাসনত দীর্ঘদিন ধরে জাল নথি ও শংসাপত্র তৈরির কাজে জড়িত ছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ এই তথ্য জানতে পেরেছে। হাসনত জানিয়েছেন, এই কাজে আরও কয়েকজন জড়িত ছিল। রবিবার তাকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজির করা হয়। এই জাল শংসাপত্র তৈরির কারবারে আর কারা জড়িত, তা জানতে পুলিশ পাঁচ দিনের হেফাজতের আবেদন করে। শেষ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট দুই দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন।

কয়েক মাস আগে ভাতার থানার এড়াচিয়া গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ারা বেগম শেখ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন। তিনি আবেদনের সঙ্গে জন্ম শংসাপত্রসহ অন্যান্য নথি জমা দেন। নথিগুলো যাচাইয়ের জন্য ভাতারের ডিআইবি দফতরে পাঠানো হলে জানা যায়, তার জন্ম শংসাপত্রটি জাল। এরপর ডিআইবি-র এএসআই অরবিন্দ ঘোষ ভাতার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ আনোয়ারাকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায়, হাসনতই তাকে জাল শংসাপত্র সরবরাহ করেছিলেন। এরপর হাসনতকে গ্রেফতার করা হয়।

ভাতার থানার এক তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, হাসনতকে হেফাজতে নিয়ে জাল নথি তৈরির চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকিদের ধরার চেষ্টা চলছে। এছাড়া, এই চক্র যেসব জাল শংসাপত্র তৈরি করেছে, সেগুলো উদ্ধারেরও চেষ্টা করা হবে।

ছবি কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা দিয়ে বানানো।