অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে বিহার থেকে সল্টলেকে টেস্ট ড্রাইভ দিতে এসেছিল এক যুবক। টেস্ট ড্রাইভ দেওয়ার সময় সে ওই গাড়ির নকল চাবি বানিয়ে ফেলে। তারপর সেদিন রাতেই সল্টলেক থেকে দামি গাড়ি চুরি করে হাওয়া হয়ে যায় যুবক। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করল বিধাননগর উত্তর থানার পুলিস। বিহার ও উত্তরপ্রদেশের সীমানার ভাবুয়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চুরি যাওয়া গাড়িটিও। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম সেলিম আনসারি। তার বাড়ি বিহারের চেনপুরে। সল্টলেকের পর ফুলবাগানে একই কায়দায় আরও একটি গাড়ি চুরির পরিকল্পনা করতে গিয়েই ধরা পড়ে যায় সে।

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সল্টলেকের দত্তাবাদ এলাকার এক ডিলারের কাছে পুরনো ওই দামি গাড়িটি ছিল। পুরনো পণ্য কেনা-বেচার একটি অ্যাপে গাড়িটি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। সেই বিজ্ঞাপন দেখেই বিহার থেকে যোগাযোগ করে সেলিম আনসারি। সে চেনপুর থেকে টেস্ট ড্রাইভ দেওয়ার জন্য সল্টলেকে এসেছিল। ইঞ্জিন নম্বর, চেসিস নম্বর সহ গাড়িটির যাবতীয় তথ্য নিয়ে টেস্ট ড্রাইভও দেয়। গাড়িটিতে ‘পুস বাটন’ স্টার্টের সিস্টেম রয়েছে। টেস্ট ড্রাইভ দেওয়ার পর সে ইঞ্জিন নম্বর, চেসিস নম্বর সহ গাড়িটির তথ্য দিয়ে নকল চাবি বানিয়ে নেয়। তারপর গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে সল্টলেক থেকে চুরি করে। দত্তাবাদ এলাকায় ফুটপাতে পার্কিং করা ছিল গাড়িটি। সেখান থেকে নিয়ে সোজা বিহারের ভাবুয়ায় চলে যায়। সেখানেই গাড়িটি লুকিয়ে রাখে।

এদিকে, গাড়ি চুরির ঘটনা সামনে আসার পর বিধাননগর উত্তর থানায় একটি মামলা রুজু হয়। তদন্তে পুলিস জানতে পারে, চুরি যাওয়া গাড়িটি নিয়ে সেলিম আনসারি কেনা-বেচার অ্যাপে ফের একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। তারপরই পুলিস তাকে জালে তুলতে সর্বত্র খোঁজখবর শুরু করে। মোবাইলের সূত্র ধরে পুলিস জানতে পারে, একই কৌশলে সে আরও একটি গাড়ি চুরির পরিকল্পনা করেছে। ফুলবাগানে একটি পুরনো গাড়ি কেনার জন্য টেস্ট ড্রাইভ দিতে এসেছে সে। ওই গাড়িটিও বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। খবর পেয়েই বিধাননগর উত্তর থানার পুলিসের টিম ফুলবাগানে গিয়ে হাতেনাতে তাকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জেরা করে সল্টলেক গাড়িটিও উদ্ধার হয়। এক পুলিস থেকে চুরি যাওয়া আধিকারিক জানান, ধৃত যুবকের বয়স মাত্র ২১ বছর। সে একাই এই কারবার শুরু করেছিল।

সূত্র: বর্তমান

ফীচার ইমেজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা নির্মিত চিত্র ব্যবহৃত হয়েছে।