হিন্দু মিলন সংঘের পক্ষ থেকে প্রতিটি হিন্দু পরিবারের কাছে অনুরোধ আপনারা নিজেদের কন্যা এবং মা বোনেদের সতর্ক করুন।
প্রতারক ইসলামের চক্রান্তকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
প্রথমে বন্ধুত্ব, তারপর প্রেমের ফাঁদে ফেলে এ রাজ্যের তরুণী, যুবতীদের পাচার করার অভিযোগে গ্রেফতার হল অসমের দুই যুবক। ভক্তিনগর থানায় দায়ের হওয়া ধর্ষণ এবং অপহরণের ঘটনার তদন্তে নেমেই এদের গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি পুলিশ। ভক্তিনগর থেকে পাচার হয়ে যাওয়া তিন যুবতীকেও উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিলিগুড়ির অনেক থানায় ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম রাহুল সরকার ওরফে রাজু, ও উত্তম সূত্রধর। দুজনেই অসমের কোকরাঝোড় এলাকার বাসিন্দা। এদের বিরুদ্ধে শিলিগুড়ির চারটি থানায় অভিযোগ রয়েছে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই রোমিওদের পাচার-চক্রের কথা জানালেন শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের এসিপি ইস্ট সুভেন্দ্র কুমার। তিনি বলেন, “ভক্তিনগর থানায় দায়ের হওয়া ধর্ষণ এবং অপহরণের ঘটনার তদন্তে নেমে দুজনকে ধরা হয়। তদন্তে নেমে জানা যায়, মামলা দুটো হলেও অভিযুক্ত একজন। শিলিগুড়ি মহিলা থানাতেও একই অভিযোগ হয়েছিল। তারপর গত ৬ মে, শুক্রবার ভক্তিনগর পুলিশ টিম ও এসওজি মিলে রাহুল সরকার ওরফে রাজু, ও উত্তম সূত্রধরকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত উত্তম সূত্রধর। তার বিরুদ্ধে ভক্তিনগর থানা, শিলিগুড়ি মহিলা থানা সহ জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের অধীন মেটলি এবং হলদিবাড়ি থানাতেও অভিযোগ রয়েছে। ভক্তিনগর এলাকা থেকে যে ৩ যুবতীকে পাচার করা হয়েছিল, তাদেরও উদ্ধার করা গিয়েছে।” অন্যদিকে, ধৃতদের ১৪ দিনের রিমান্ডে নিয়ে এই ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। অন্যান্য যে সমস্ত থানায় এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, আরও যাদের পাচার করা হয়েছে, তাদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অসমের যুবক রাহুল বহু বছর ধরে এ রাজ্যে আসা-যাওয়া করত। বিভিন্ন থানা এলাকায় গিয়ে তরুণী, যুবতীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করত। এরপর কিছুদিন তাঁদের প্রেমের বাঁধনে বেধে মোহের জালে ভাসিয়ে সুযোগ বুঝে পাচার করে দিত বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ির বিভিন্ন থানা সহ ২০১৬ সালে ধৃতের নামে জলপাইগুড়ি থানায় এরকম এক অভিযোগ জমা পড়েছিল বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এরপরই অভিযুক্তের স্কেচ বানিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। অবশেষে গত ৬ মে বাগডোগরা এলাকা থেকে ধরা পড়ে অভিযুক্ত রাহুল। এরপর তাকে জেরা করে উত্তম সূত্রধরের হদিশ পায় পুলিশ।
এদের সঙ্গে এই পাচারকাজে আর কারা জড়িত রয়েছে, সে ব্যাপারে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পাচার হয়ে যাওয়া যুবতীদের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হবে এবং প্রয়োজনে এদের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে গিয়ে এই চক্রের জড়িত অন্যদের ধরার চেষ্টা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
